নক্ষত্র-খচিত কোন এক রাতে- দূর থেকে আমি তোমায় দেখেছিলাম সেই থেকেই তোমায় ভালোবাসি।
এরপর বহু সময়,বহু প্রতীক্ষার প্রহর পেরিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের পথ পরিক্রমার শেষে প্রথম আমি তোমায় খুব কাছ থেকে দেখলাম। আনন্দ অশ্রুতে ভাসিয়ে- শুরু হলো তোমর-আমার পথচলা।
কত স্বপ্ন,কত স্বপ্ন ভঙ্গ আর আশা-নিরাশার দোলায় তুমি আমাকে আগলে রেখেছ। তোমার রূপ,তোমার শোভা,তোমার স্পর্শ-বৈচিত্র আমাকে করেছে মুগ্ধ। যতই দিন গড়িয়েছে - ততই তোমার প্রেমে হয়েছি বিলীন।
তবু কখনো বা কষ্টে জর্জরিত করেছ আমার দেহ-মন। আবার ভালোবেসে হৃদয়ে দিয়েছ ঠাঁই। আমিও একেক বার অভিমানে তোমার কাছ থেকে পালাতে চেয়েছি। নক্ষত্র-খচিত রাতে খুঁজেছি- অন্য কোন প্রেয়সীকে। কিন্তু জলন্ত হুতাশন কিংবা নীহারের শীতলতা ছাড়া আর কিছুই পাইনি সেখানে ফিরেছি আবার তোমার পানে।
এই সুবিশাল মহাবিশ্বের কাছে তুমি হয়তো অনেক ক্ষুদ্র,অতিশয় তুচ্ছ। তবু জানি তুমিই আমার হৃদয়ের রাণী।
এভাবেই চলে যেতে পারত দিনগুলো ভেবেছিলাম কোনদিন তোমার-আমার পথচলার শেষ হবে না কিন্তু একদিন! অশ্রুসিক্ত নয়নে তুমি আমায় চির বিদায় জানালে।
কিছুই করবার ছিলনা আমার কেবল নির্বাক ,নিস্পলক দৃষ্টি আর অভিমানী হৃদয়ের অসীম শূন্যতা নিয়ে মিশে গেলাম- আমার আজীবনের ভালোবাসা প্রিয় পৃথিবীকে ছেড়ে সেই নক্ষত্র-খচিত রাতের আঁধারে। বহু বহু দূরে--
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আখতারুজ্জামান সোহাগ
দেশ এবং সন্তান এর মধ্যকার চিরায়ত সম্পর্কের বাঁধন-ই কি কবি বর্ণনা করেছেন? তাই যদি হয় তাহলে বলব, দারুণ রূপকাশ্রয়ী কবিতা। আমার ভালো লেগেছে।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনর উপলব্ধির জন্য। তবে প্রেয়সী বলতে এখানে দেশ-মাতৃকার চেয়েও বেশি কিছু তথা পৃথিবীর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর 'আমি' সমগ্র মানব জাতির প্রতিরূপ।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
নক্ষত্র-খচিত রাতে খুঁজেছি-
অন্য কোন প্রেয়সীকে।
কিন্তু জলন্ত হুতাশন কিংবা নীহারের শীতলতা ছাড়া
আর কিছুই পাইনি সেখানে
অসাধারণ কথামালা। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।